ওজন কমাতে হাঁটা

Facebook
Threads
Twitter
LinkedIn

(WP)– আপনি কি ওজন কমাতে চান?  ওজন কমানোর অনেকগুলো পথ আছে। তার মধ্যে সহজ এবং উত্তম পথ হলো হাঁটা। ওজন কমাতে হাঁটার বিকল্প নেই। সহজে ও কম কষ্টকর উপায়ে ওজন কমাতে হাঁটা হচ্ছে সর্বোত্তম ব্যায়াম। হাঁটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সহজ ও কার্যকার হিসেবে ধরা দিচ্ছে বারবার। বিভিন্ন দশক ধরে চলমান গবেষণায়ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে প্রতিদিন হাঁটা শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রোগ উপশমে সহায়ক।

জামা নিউরোলজি ও জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিনের মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত।

প্রতি ২ হাজার পা হাঁটা হার্টের অসুখ, ক্যানসার, অপরিণত মৃত্যুর ঝুকি ১০ শতাংশ কমাতে সহায়ক।

খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে হাঁটা বেশি চর্বি কমাতে পারে। সকালবেলা প্রথমে খালি পেটে হাঁটলে বিপাকপ্রক্রিয়া উন্নত হয়। খালি পেটে হাঁটলে আপনি যেসব উপকার পাবেন—

উন্নত পরিপাকতন্ত্র: রাত্রের বিশ্রামের পর হেঁটে সকাল শুরু করা হতে পারে। সেটা হবে পরিপাকতন্ত্রের জন্য কিকস্টার্ট। এটি শরীরকে কার্যকরভাবে পুষ্টি ব্যবহারে সাহায্য করে।

এনার্জি লেভেল উন্নত করে: নিয়মিত হাঁটলে শরীরের এনার্জি লেভেল উন্নত হয়। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে শরীর ও মনকে চাঙা রাখে। হাঁটাই প্রথম উপায়, যা সকালের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে।

ওজন কমায়: গবেষণা বলে, দ্রুততর ব্যায়াম ওজন ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এর মানে হলো খালি পেটে হাঁটা দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটির মতে, গবেষকেরা দেখেছেন যে খালি পেটে হাঁটলে ওজন দ্রুত কমতে পারে। সকালের খাওয়ার আগে যেকোনো ব্যায়াম ওজন কমাতে সহায়ক।

খাওয়ার পর হাঁটার উপকারিতা

অনেক গবেষণায় খাওয়ার পর হাঁটার সুবিধার কথা বলা হয়েছে। কারণ, এটি কেবল হজমে সহায়তা করে না, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধেও সাহায্য করে। প্রতিবার খাওয়ার পর হাঁটালে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা ফোলাভাব কমতে পারে।

হজম উন্নত করে: খাওয়ার পর হাঁটা খাবার হজমের কার্যকর পন্থা। গবেষণা বলছে, হাঁটা পাকস্থলী ও অন্ত্রকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে এবং খাদ্যকে আরও দ্রুত পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেতে সাহায্য করে।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়: হাঁটা একটি হার্ট-ফ্রেন্ডলি ব্যায়াম। এটি লো ব্লাড প্রেসারে, শ্বাসপ্রশ্বাস উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাঁটা হৃদ্‌রোগ থেকে দূরে রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: হাঁটা ডায়াবেটিস রোগের মহৌষধ। ডায়াবেটিস রোগীদের হাঁটতে বলা হয়। খাওয়ার পর হাঁটা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অ্যাসিডিটি: ক্রনিক অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে হাঁটা হতে পারে দারুণ কার্যকর। কারণ, হাঁটার ফলে পাচনতন্ত্র উদ্দীপ্ত হয় এবং হজম ভালো হয়।

সব মিলিয়ে খালি পেটে হাঁটা এবং খাবারের পর হাঁটার আলাদা সুবিধা আছে। উভয় হাঁটা অন্তর্ভুক্ত করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওজন হ্রাস ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব।

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হাঁটার বিকল্প নেই।

More to explorer

মণিপুরে কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ

(WP)-   ভারতের মণিপুর রাজ্যের তিনটি জেলায় কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার। এক সপ্তাহের বেশি সময় বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলা করা হয়েছে।

জর্ডান সীমান্তে তিন ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা

(WP)-   জর্ডান সীমান্তে ফিলিশ্তিনের পশ্চিম তীরে একটি ক্রসিংয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। রোববার এ ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *